আগস্ট ১৭, ২০১৯
নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স : ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা
গাজী আল ইমরান, শ্যামনগর প্রতিনিধি: বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ উপজেলা সাতক্ষীরা জেলার শ্যামনগর উপজেলা। অথচ কর্তৃপক্ষের অব্যবস্থাপনায় নানা সমস্যায় জর্জরিত শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি। উপজেলায় বসবাসরত সাড়ে চার লক্ষ মানুষ সহ পার্শ্ববর্তী কালিগঞ্জ, আশাশুনি, কয়রা উপজেলার মানুষ সেবা নিয়ে থাকেন এই হাসপাতাল থেকে। ডাক্তার সংকটের পাশাপাশি, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা এবং সংস্কারের অভাবে ব্যহত হচ্ছে হাসপাতালের নিয়মিত সেবা কার্যক্রম। পানি না সরায় হাসপাতালের গেটে পা রাখতেই ডুবে যায় পায়ের গোড়ালি পর্যন্ত। নিচু জায়গা হওয়ায় হেঁটে প্রবেশ করার উপায় নেই। হাসপাতালের ড্রেনেজ ব্যবস্থা দেখলেই বোঝা যায় কতটা অব্যবস্থাপনায় চলছে হাসপাতালটি। অধিকাংশ ড্রেনে পানি জমে পচন ধরেছে আবর্জনায়। ময়লার স্তুপ তৈরি হয়েছে বিভিন্ন স্থানে। রোগীদের বিভিন্ন বর্জ্য বিক্ষিপ্ত ভাবে পড়ে রয়েছে হাসপাতালের নানা স্থানে। ঠিক যে সময় ডেঙ্গু প্রতিরোধে সারা বাংলাদেশ উত্তাল, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসনসহ সকল উপজেলা প্রশাসন, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোরালো ভূমিকা রাখছে সে সময়ে শ্যামনগর হাসপাতালের এরকম দৃশ্য হতাশাজনক। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, হাসপাতাল ভবনের চারপাশে তৈরি হওয়া ড্রেনগুলো নানা বর্জ্যে ভরপুর। এ সমস্ত বর্জ্যরে দুর্গন্ধ অতিষ্ঠ করে তুলেছে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের। হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় প্রবেশ করতেই চোখে পড়ে অসংখ্য বিড়াল। যেগুলো অধিকাংশ সময়ে রোগীর বেডে থাকতে দেখা যায়, রোগীদের জন্য রাখা পথ্য সুযোগবুঝে খেয়ে নেয় বিড়ালগুলো। হাসপাতালে ঢুকতেই শুরু হয় দুর্গন্ধ, সেখানে রোগীরা কতটা সুস্থ থাকতে পারে এমন প্রশ্ন রোগীর স্বজনদের মুখে মুখে। এখানেই শেষ নয় হাসপাতালের পরিত্যক্ত ভবনগুলো মাদক সেবীদের জন্য এক নিরাপদ স্থান হিসেবে পরিচিত। দিনরাত এই ভবনগুলোতে চলে বখাটেদের মাদকের আড্ডা। হাসপাতালে আসা এক রোগীর আত্মীয় উপজেলার সোরা গ্রামের আ: আজিজ বলেন, হাসপাতালের মধ্যে ঢুকতেই শুরু হয় দুর্গন্ধের, ২য় তলায়ও একই অবস্থা। একারনে রোগীর সাথে আসা স্বজনরাও অসুস্থ হয়ে যায় মাঝে মাঝে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা অজয় সাহা বলেন, আমাদের হাসপাতালটি নিচু জায়গায় হওয়াতে হালকা বৃষ্টি হলেই পানি জমে যায়, বর্ষা না হলে আবার দুই এক দিনের মধ্যে পানি চলে যায় । হাসপাতাল অপরিচ্ছন্ন বলা যায় না, আমরা সব সময় পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করি। তাছাড়া আমাদের হাসপাতালে ডাক্তার সংকট আছে এজন্য রোগীদের মাঝে মাঝে কষ্ট সহ্য করতে হয়। এ হাসপাতালে ৩১জন ডাক্তারের পদ থাকলেও আছে মাত্র ৬জন ডাক্তার। চতুর্থ শ্রেণির কমচারীর ১২ টি পদ থাকলেও আছে পাঁচ ছয় জন। এজন্য পরিচ্ছন্নতায় একটু ত্রæটি থাকতে পারে। তবে যারা আছে তারা সার্বক্ষনিক পরিচ্ছন্নতার কাজেই থাকে। 8,505,891 total views, 3,293 views today |
|
|
|